আর সেখানেই তৃণমূলের ঘরের ভাঙা নিয়ে সরাসরি তৃণমূল নেত্রীর প্রশ্নের মুখে পড়েন প্রশান্ত কিশোর। সূত্রের খবর, এদিন কালীঘাটের কোর কমিটির বৈঠকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের পিকের কাছে জানতে চান এই পরিস্থিতির কারণ কি? সমস্যার ঠিক কোথায়? তিনি জিজ্ঞাসা করে, 'কেনো এসব হচ্ছে? আপনার কি মনে হয়!'উত্তর প্রশান্ত কিশোর নাকি বলেছেন, 'বিজেপি বিভিন্নভাবে এজেন্সির ভয় দেখাচ্ছে। অনেকে লোভে পড়ে এসব করছে।'উত্তর শুনে তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, 'দেখুন বাকিরা যারা আছেন তাদের বোঝান'। এ থেকে বোঝা যাচ্ছে ভাঙন আরো বাড়তে পারে বলে মনে করছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
কিন্তু তাহলে ভোট কুশলী রেখে লাভ কি হল? উঠছে প্রশ্ন। আগেও বিভিন্ন বিধায়ক, আইপ্যাক এর বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। দৌলতে গি বিক্ষুব্ধ বিধায়ক শীলভদ্র দত্ত বলেন, 'একটা কর্পোরেট সংস্থা বলে দিচ্ছে কি করব। এভাবে কাজ করা যায় না। আইপ্যাকের কর্মীরা এসে বলছে,এটা করুন এটা করবেন না' ভোটের কথা আপনাকে চিন্তা করতে হবে না। ওটা আমাদের কাজ। জিতিয়ে আনার জন্য তো আমরা টাকা পেয়েছি। এভাবে কি ভোট হয়?'শীলভদ্র এই কথোপকথন প্রকাশ্যে আনলেও অনেকে তা আনেননি। কিন্তু খুব উপরে দিয়ে দল ছেড়েছেন।সুতরাং এখন ভোট কুশলী প্রশান্ত ঘোষ এর বিধানসভা নির্বাচনের সাফল্য পাবে কিনা তা নিয়ে চর্চা তুঙ্গে।
অন্যদিকে সূত্রে খবর, কোর কমিটির বৈঠকে নেত্রী বলেছেন, 'কে গেল, কে থাকলো তাতে দলের কিছু আসে যায় না। তৃণমূল মোটেই উদ্বিগ্ন নয় এ নিয়ে। দল অনেক বড়। যারা যাচ্ছে তারা দলের বোঝা হয়ে দাঁড়িয়েছিল। ভালো হচ্ছে ওরা নিজেরাই ছেড়ে দিচ্ছে। পাতা ঝরে গেলে নতুন পাতা তৈরি হবে।'সামনে বিধানসভার অগ্নিপরীক্ষা।তার জন্য শীর্ষ নেতৃত্বকে সমস্ত শক্তি দিয়ে নির্বাচনী ময়দানে পরামর্শ দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় । তিনি বলেন, 'তৃণমূলের যে তা নিয়ে কোনো আশঙ্কা নেই। এক ইঞ্চি জমিও ছাড়া যাবে না। তৃণমূলের হাতিয়ার উন্নয়ন। উন্নয়নকে অস্ত্র করে ঝাপাতে হবে।
কমেন্ট বক্সে আপনার মতামত জানান।
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন